লেখা- মোঃ জাহিদুল হক সুবন
মেঘলার চারপাশ নিরবতার চারদেয়ালের মাঝে বন্দী। মেঘলার
হস্তের কলম আর এগোয় না। মনের মাঝে বিভিষিকা দাউ দাউ
করে জ্বলছে। অনুভূতি গুলো দিন দিন ভোতাঁ হয়ে যাচ্ছে।
মরিচিকা বাসা বেধেছে তার অন্তরে। ডায়েরির পাতা গুলো আর
ভরাট হয়ে উঠে না। শুভ্র আর মেঘলা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু
তাদের মাঝে রয়েছে এক বিশাল দেয়াল। এই দেয়াল ভাঙ্গার শক্তি নেই
মেঘলার। শুভ্র মেঘলাকে আজো ছুয়ে দেখে নি।
মেঘলা গ্রামের সহজ সরল একটি মেয়ে। খুব লাজুক একটা মেয়ে। সারাক্ষন চুপচাপ
থাকে। আর শুভ্র শহরের আধুনিকতার ছোয়ায় বড় হয়েছে। চুপচাপ
বসে থাকা মনে রোমান্সহীন এসব শুভ্রের একবারে পছন্ধ নয়।
গ্রামে বেড়ানোর নাম করে শুভ্রকে গ্রামে নিয়ে শুভ্রের
বাবা মা শুভ্রের সাথে মেঘলার বিয়ে দিয়ে দেয়।
.
বাইরে ঝুম ব্ষ্টি হচ্ছে। গ্রীলের ফাকে হাত বাড়িয়ে ব্ষ্টিকে স্পর্শ
করার চেষ্টা করছে মেঘলা। টেবিলে পড়ে থাকা কলমটা হাতে তুলে নেয়
মেঘলা। কি যেন লেখার চেষ্টা করছে। হ্যাঁ লিখছে তার ডায়েরির পাতায়।
.
* * শুভ্র জানো তোমাকে অনেক ভালোবাসি। জানো হৃদয়ের পাজরে আজ কে যেন
হঠাত্ কড়া নাড়ল। হয়ত সেটা তুমি। মনে হচ্ছে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠা ওই সর্বভূকের জ্বালা আজ মিটবে। তোমার জলছবি মিশে আছে আমার অন্তরে আমার ভাবানায় সারাটাক্ষন। আমি চেয়ে চেয়ে থাকি তোমার মুখমন্ডলের দিকে।
তোমাকে ওগো করে বলতে ভীষন ইচ্ছে হয়। কিন্তু পারি না। এই গোলাকার
ব্ত্তে ভালোবাসা পাওয়া এতটা সহজ নয়। ধরনী দিনকে দিন বদলে যাচ্ছে এক
এক রুপ ধারন করে। কাউকে কি ভালোবাসা অপরাধ।
এখানে আমার তো কোন দোষ নেই। আমি কি দেখতে খারাপ। কেন
আমাকে অবহেলায় ঠেলে দিচ্ছো? জানো আমি রোজ স্বপ্ন
দেখি কখনো তুমি আমার চুল আচড়িয়ে দিচ্ছো। আবার কখনো আমায়
কোলে নিয়ে হাটছো। কখনো তোমার বক্ষে আমার মাথা রেখে নিবাস
যাওয়া তারি পরক্ষনে আমার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে আমার
শ্রবনে ভালোবাসার গুঞ্জন ছড়াচ্ছো। আর আমি নিষপ্লক
ভাবে চেয়ে চেয়ে থাকি তোমার আখির দিকে।
.
ভীষন ইচ্ছে হয় তোমার আলিঙ্গন হয়ে ব্ষ্টিতে ভিজতে। হ্যাঁ খুব ইচ্ছে হয়
জোস্নার আলোয় তোমার সঙ্গে চাদঁ দর্শন করতে।
কিন্তু সব ব্থা আমি তো জ্বালানি কাঠ আর তুমি সর্বভূক। যখনি তোমার
পানে যাই তখনি আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাই। জানি না বিধাতা একেমন
পরীক্ষা নিচ্ছে আমার। তুমি যখন ভাত খাও আমার ভীষন ইচ্ছে হয় তোমার হস্ত
ধারা এক মুঠো হে শুধু এক মুঠো ভাত খেতে। আমার ললাট এতই করুন সেই
সৌভাগ্য টুকু ও হয়নি। যেদিন বিয়ে হয়েছিল সেদিন বাসর
রাতে তোমার পা ধরে যখন সালাম করতে গেলাম
তুমি পা সরিয়ে নিয়েছিলে। মনে বড় আঘাত পেলাম। তখন খুব
কান্না করতে ইচ্ছে করতেছিল। কিন্তু করি নি আমার নেত্রের জল
আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম আমার আখির আড়ালে। সারারাত
চুপটি মেরে বসেছিলাম আর মনে মনে ভেবেছিলাম হয়ত এখন
আমার ঘোমটা তুলে দুনয়নে উজার করে দেখবে আর আমার কপালে চুমু
বসিয়ে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিব। কিন্তু তা না করে তুমি নাক
ডেকে ঘুমিয়েছিলে। আমার না খুব হাসি পাচ্ছিল তোমার নাক
ডাকা শুনে। কিন্তু আমি বড় অভাগী একটি বারো আমায় স্পর্শ করে দেখনি।
.
একদিন তোমার সাথে শপিং এ গিয়েছিলাম কয়েকটা মেয়ে তোমার
দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে ছিল। আমার ভীষন হিংসে হচ্ছিল তখন।
মনে হয়েছিল কেউ আমার কাছ থেকে তোমায় কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু
আমি কখনোই তা হতে দিব না তুমি শুধু আমার শুভ্র হ্যাঁ আমার।
ভূল করে একদিন চিনির বদলে লবন দিয়ে চা বানিয়ে দিয়েছিলাম। তুমি মুখে দিতেই ক্রোধে আমার গালে একটি থাপ্পর মেরেছিলে। তখন আমি প্রচন্ড কেদেঁছিলাম। হয়ত
তুমি ভেবেছিলে আমি অভিমান করে অশ্রু ঝড়িয়েছি। না তা নয় আমি পরম সুখে কেদেঁছি যেই শুভ্র আমাকে কোন দিন স্পর্শ করে দেখে নি সেই শুর্ভ আমাকে অন্তত থাপ্পর মেরে স্পর্শ করেছে। আমি সেই লবন দেওয়া তৈরি চাটা মনের ত্প্তিতে খেয়েছিলাম কারন ওই
টাটাতে তোমার ঠোটের ছোয়া ছিল। শুধু চা নয় তুমি যখন
পানি খেতে গ্লাসে যখন কিছু পরিমান পানি থেকে যেত ওই পানিটুকুও
আমি খেতাম। তুমি ঘুমিয়েছিলে একদিন সাহস
করে তোমার বক্ষে মাথা রেখেছিলাম ওই রাতটাই ছিল আমার নিকট
অনকে মূল্যবান রাত। আচ্ছা আমি তো তোমার
স্ত্রী তাহলে এমন কেন করছো আমার সাথে? তোমায়
ভালোবাসি এটাতো আমার দোষ না। হ্যা আমার হৃদপিন্ড যতদিন ঘড়ির কাটার
মত চলতে থাকবে ততদিন তোমায় ভালোবেসে যাব।
জানি একতরফা ভাবে ভালোবাসার পরিপূর্ণ রুপ প্রকাশ পায় না। কিন্তু
আমি নিরুপায়। হয়ত তুমি আমার ভালোবাসার মূল্য বুঝনি। আমার
বিশ্বাস একদিন তোমার ভালোবাসা ফিরে পাব।
তুমি হয়ত জানো না কতটা ভালোবাসি তোমায়।
কতটা মিস করি তোমার ভালোবাসা। কারন তোমায় ভালবাসি।
একটাই অনুরোধ শুভ্র কখনো আমায় ছুড়ে ফেলে দিও
না নোংরা ডাস্টবিনে। কখনো এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিও না।
আমি সইতে পারব না। আমিই না হয়
তোমাকে একা ভালোবেসে যাব। তারপর ও তোমার আশেপাশে আমায়
থাকতে দিও। কিন্তু শুভ্র এই শহরের হালচাল না হয় আমি বুঝিনা। বুঝিনা আধুনিকতার ভালোবাসা তুমি তো আমায় শিখাতে পার। তোমার কাছ থেকে না শিখলে কার কাছ থেকে শিখব। আমি ও যে শিখতে চাই।
জানি না তোমায় কখন
ওগো করে ডাকতে পারব। এখন ভীষন
ইচ্ছে হচ্ছে । ওগো তোমায় খুব ভালবাসি।* *
.
''বৌ মা এই বৌ মা একটু এদিকে আসো তো।
''জ্বি মা আসছি।
.
মেঘলা চলে যায় ডায়েরিটা শুভ্রের টেবিলে ফেলে।
ডায়েরিটা সামলিয়ে রাখতে খেয়াল নেই মেঘলার।
রাতে শুভ্র অফিসের কিছু ফাইল তৈরি করছিল হঠাত্ তার
চোখে পড়ে সেই ডায়েরিটা। মেঘলার ডায়রী টেবিলে দেখে চমকে যায় শুভ্র।
শুভ্র ভাবতে থাকে কি আছে এই ডায়েরিতে। শুভ্র পড়বে না এই
ডায়রি কারন এটা মেঘলার। তাই এটা রেখে দেয়। রাত অনেক
হয়ে গেছে শুভ্রের ঘুম আসছে না আর ভাবছে ডায়েরিটা কি আমার পড়া উচিত্ ?
চারপাশ নিরবতায় থমকে আছে। হিমেল হাওয়া বইছে শন শন করে। গগনের
চন্দ্রটাকে বার বার ঢেকে দিচ্ছে কালো মেঘগুলো। কিন্তু
চন্দ্রটাও যেন মাথা নত করার মত নয়। সেও তার উজ্বল আলো ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছুক।
জোত্স্নাময় রাত। ছোট ছোট নক্ষত্রের দিকে নিষপ্লক ভাবে তাকিয়ে আছে শুভ্র। আর
ভাবছে ডায়েরিটা কি পড়ব? এড়ো দ্ষ্টিতে বার বার ডায়েরিটার
দিকে তাকাচ্ছে শুভ্র। অবশেষে মনের যত সংশয় দূর করে ডায়েরিটা হাতে তুলে নেয়।
.
কাপা কাপা হস্তে খুলে ফেলে ডায়েরির পাতাটা। খুলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যায় শুভ্র। কারন প্রথমেই লিখা ছিল ''শুভ্র
জানো তোমায় অনেক ভালোবাসি। মনের অস্হিরতা নিয়ে শুভ্র
পড়ে ফেলে মেঘলার হস্তের ফুটিয়ে তোলা রং তুলি।
নিজেকে খুব ছোট মনে করছে শুভ্র। আর
বির বির করে বলছে কি করেছি আমি ওর সাথে, আমাকে এতটা ভালোবাসে।
হ্যাঁ আমি ওর গালে আমার হস্তের পাচঁটি আঙ্গুল বসিয়ে দিয়েছিলাম। তখন
কিছুটা অনুভুতি করেছি ওর গাল কতটা কোমল। এত অপমান সহ্য করে ও
আমাকে প্রচন্ড ভালোবেসে গিয়েছে। ঠিকি তো আমি ওর ভালোবাসার মূল্য
বুঝি নি। আচ্ছা আমার এখন এমন কেন লাগছে। ওর
প্রতি কি আমার মায়া জন্ম নিয়েছে। নাকি এটা ভালোবাসার টান।
কি ব্যাপার আমার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ছে কেন? আমার নেএ তো এত
সহজে অশ্রু ঝড়ায় না।
.
হ্যাঁ মেঘলা গ্রামের সহজ সরল মেয়ে। অসম্ভব সুন্দরী তাকালে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু শুভ্র ভাবতো সুন্দর দিয়ে কি হবে যদি একে অপরের
প্রতি ভালোবাসা না জন্মায়। শুভ্র ভেবেছিল মেঘলা গ্রামের মেয়ে ভালোবাসার কি বা বুঝে?
কিন্তু আজ শুভ্রের চোখ ঠিকি চিনে নিয়েছে। যারা সব সময়
নিরব হয়ে থাকে তারা ও ভালোবাসতে জানে। তারাও সুন্দর
ভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে গাইতে জানে। তারা ও সাজাঁতে জানে স্বপ্নের নিবাস। এত নিখুত মেঘলার প্রতিটা শব্দ যেন প্রজাপ্রতিরা উড়ে উড়ে খেলা করে।
কেন জানি ওর পানে যেতে ইচ্ছে করছে। শুভ্র
নিজেকে সামলাতে পারে নি। শুভ্রের পা দুখানা বাড়ালো মেঘলার দিকে। রাত ১.১০ মিনিট। মেঘলা শুয়ে আছে।
.
- - এই মেয়ে উঠো। মেঘলা ঘুমোচ্ছে মনে হচ্ছে বহু দিন
ঘুমোয় নি। কিন্তু এবার উচ্চস্বরে ডাক দিল।
- - এই মেয়ে উঠো বলছি সারাদিন শুধু ঘুম আর ঘুম। মেঘলা আচমকা জেগে উঠে। মনে হয় ভয় পেয়েছে।
- - আমাকে বলছো?
- - হ্যা তোমাকে বলছি। এত ঘুমাও কিভাবে তুমি?
এই বলে মেঘলাকে কোলে তুলে নেয় শুভ্র। আর বলে এই
মেয়ে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন? মনে হচ্ছে আমাকে আর কোন দিন দেখনি?
মেঘলাহাতে চিমটি কেটে দেখে এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। এই মেয়ে তুমি এত
ভারী কেন? কোন গুদামের চাউল খাও? মেঘলা হারিয়ে গেছে এক
অজানা স্বপ্নে ওর মুখ দিয়ে কোন উক্তি বের হলো না। বের
হবে কিভাবে যখন কেউ হঠাত্ কিছু পেয়ে থাকে তখন তার কোন হূশ থাকে না।
মেঘলাকে কোলে করে ছাদে নিয়ে যায়।
- - তোমার অনেক সখ
আমাকে সাথে নিয়ে চাদঁ দেখতে?
- - হুম্ম।
- - তোমার ভীষন ইচ্ছে তোমার চুল আচড়িয়ে দিতে কিন্তু আমি যে চিরুনি আনি নি। তোমার কপালটা দিবে আমার ঠোটের ছোয়া বসিয়ে দিব। আমায় আবার লবণ
দিয়ে চা বানিয়ে দিবে আমি মনের ত্প্তি নিয়ে খাব এক বিন্দু ও সংকোচ করব
না। আজ থেকে প্রতিটা রাত আমার বক্ষে ঠাই দিতে চাই তোমায়। কেন
আমি তোমায় ছুড়ে ফেলতে যাব নোংড়া ডাস্টবিনে? যদি ফেলে ও
দি কে আমায় এতটা ভালোবাসবে। কার আলিঙ্গনে আমার শরীর মেশাব।
দেখতে দেখতে কিভাবে যেন আমাদের বিয়ের একবছর পূরন হলো আজ।
তুমি আমার নিকট ভালোবাসা শিখতে চাও।
কি করে তোমায় শিখাব যেখানে ভালোবাসা কি আমি নিজে ও
জানি না। এই মেঘলা আমার দুবাহু বাড়িয়ে দিলাম একটু ভালোবাসা দিবে আমায়?
মেঘলার বিশ্বাস হচ্ছে না এটা কি সেই শুভ্র।
মেঘলা জড়িয়ে ধরে শুভ্রকে। মেঘলার মুখমন্ডল শুভ্রের কাধে আর শুভ্রের মুখমন্ডল
মেঘলার কাধে। মেঘলা ভ্যা ভ্যা করে কাদঁছে। শুভ্র ও কেদেঁ দিল।
- - মেঘলা আমায় ভালোবাস?
- - আমি ভাবতে পারি নি তোমার বুকের ভেতর ফাটছে আমার শরীর
জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ। আমি থামতে পারি নি তোমার
গালে নরম দুঃখ আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ। এখন অনেক রাত
তোমার কাধে আমার নিশ্বাষ আমি বেচেঁ আছি তোমার ভালোবাসায়. . . . ভালোবাসায়। হুম্ম অনেক ভালোবাসি তোমায়।
- - এই পাগলি তুমি কাদঁছো কেন? গত বছর বাসর রাতে না হয় একটু
দুষ্টামি করি নি তো কি হয়ছে আজ দুষ্টামি করব।
- - হি হি হি ফাযিল বদমাইস।
- - এই বদমাইসটার জন্যই তো এতদিন অশ্রু ঝড়িয়েছো।
- - তুমি জানো কত বিনিদ্র রাত
একা নির্জনে পার করেছি। শত উষ্ণনা খুজেছি তোমার পানে। আমার
পথহারা নেএ পথ খুজেছে তোমার আলোতে তবু ও পথের সন্ধান পাইনি। এই
বক্ষে প্রত্যাশার আলো জমাট বেধেছি বহু অপেক্ষা নিয়ে তোমায়
ফিরে পাব বলে। নয়নে নয়নে দেখবে অন্ধ আকর্ষনে।
মনে প্রশ্ন জাগে একবারো কি আমায় স্পর্শ করার ইচ্ছে হয় নি? হ্যাঁ তোমার
বুকের বামপাশটা একবারো আমার জন্য কেপেঁ উঠে নি? এই শুভ্র তোমার
আলিঙ্গনে থাকতে দিবে তো আমায় সারাটা জীবন?
- - ব্ষ্টির ছোট ছোট বিন্দু গুলোর মাঝে লুকায়িত ছিলে। বহুবার
চেয়েছি তোমায় আলিঙ্গনে মিশে নিতে। যখনি ছুটে যেতাম
তখনি কালো মেঘগুলো তোমায় ঢেকে দিত। তখন আবার সিদ্ধান্ত
নিতাম। আমি রবো একা সঙ্গীহীন। তোমার লাজুক ঠোটের
হাসিতে আমি আত্নহারা। কিন্তু ওই ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি ছিল
তোমাকে আড়ালে হারিয়ে ফেলতাম। আর এই ঝড়টা ছিল তোমার নিরবতা। এত
নিরব হয়ে থাকো কেন তুমি? কিন্তু আজ আমি পেরেছি তোমায়
বক্ষে তুলে নিতে। মনের যত সংশয় দূর করে আজ আমি তোমার পানে। এই
লক্ষিটি আমি আছি তো তোমার আলিঙ্গনে জীবনের শেষ সুখ টুকু তোমায় বিলিয়ে দিতে।
.
শুভ্র আবার মেঘলাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যায় একটি রাত সাজাঁতে। যে রাত বহুদিন
অপেক্ষা করছে। হ্যাঁ সেই রাত যে রাতে ফুলে ফুলে সুভাস ছড়ায়। এখন
অনেক রাত।