❆❆ কিংবদন্তী বক্সার মোহাম্মদ আলীর জীবন থেকে একটি ঘটনা, তার মেয়ের বর্ণনায় ❆❆
“যদি স্মৃতি আমাকে প্রতারিত না করে, আমি একটি ছোট সাদা রঙের টপ আর কালো রঙের শর্ট স্কার্টপরেছিলাম। আমাকে একজন মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছিল, তাই আমি কখনো বাবার সামনে এধরণের পোশাক পরতাম না। আমরা পৌঁছালে আমাদের গাড়ির চালক আমাদের নিয়ে গেলেন। আমি আমারআমার ছোট বোন , লায়লা, দুজনে মিলে আব্বুর হোটেল কামরায় গেলাম।
আব্বু বরাবরের মতোই আমাদেরকে চমকে দেবার জন্য দরজার আড়ালে লুকিয়ে ছিল। আব্বু আমাদেরঅনেক আদর করতেন, আমরা ছোট ছিলাম তখন, আমাদের কোলে করে নিয়ে আদর করতেন। আব্বুআমাকে কিছুক্ষণ দেখলেন। এরপর আমাকে কাছে টেনে বসিয়ে কিছু কথা বললেন, যা আমি কখনো ভুলবনা।
আব্বু সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হানা, আল্লাহ যা কিছু মূল্যবান করে সৃষ্টি করেছেনতা সংরক্ষণ করেছেন।
বলত, হীরে কোথায় পাওয়া যায় ? মাটির অনেক অনেক গভীরে, লুকায়িত থাকে, সংরক্ষিত থাকে।
আর মণি মুক্তো কোথায় পাও ?
একেবারে সাগর তলে , সাগরের তলদেশে, তাও একটি খোলসে ঝিনুকের মাঝে লুকানো থাকে। সেই ঝিনুকটিও কতো সুন্দর ভেবে দেখেছো ?
আর সোনার খনিগুলো কোথায় ? মাটির কত গভীরে, পাথরের স্তরের পর স্তরে আচ্ছাদিত থাকে ঐ সোনারখনিগুলো। আর আমাদের এই মূল্যবান উপহারগুলো পাওয়ার জন্য কত না কষ্ট করতে হয় “!
কথাগুলো বলে আব্বু আমার চোখের দিকে তাকালেন, “হানা ! আল্লাহ আমাদের সম্মানিত করে সৃষ্টিকরেছেন মানুষ হিসেবে। তোমার দেহ পবিত্র ও একটি আমানত, তুমি আমার কাছে ঐ মণি মুক্তোগুলোরচেয়েও দামি, তোমারও নিজেকে ঢেকে রাখা উচিত আর মডেস্টি রক্ষা করা উচিত “।