মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৮৪- আবুল খান

আবুল ও তার বন্ধু গেছে পানের দোকানে......

আবুলঃ একটা পান দেন....
দোকানদারঃ কি দিয়ে খাবেন..... ?
আবুলঃ কেন, দাঁত দিয়ে....
দোকানদারঃ বলছি কিভাবে খাবেন... ?
আবুলঃ চিবিয়ে খাবো...... ?
দোকানদারঃ আরে ভাই"সাথে কি খান....?
আবুলঃ সাথে আমার বন্ধু হাবলু খাঁন...
দোকানদারঃ আরে মিয়া ভাই"আপনি কি জর্দা খান...?
আবুলঃ জ্বি না"আমি "আবুল খাঁন.......
দোকানদার.........বেহুশ........?

-------------------------------
এক চেইন স্মকার'কে একদিন ২টা সিগারেট একসাথে জ্বালাতে দেখে এক
ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলো......
”ভাই, শেষ খাওয়া খাচ্ছেন নাকি?”
লোকটি উত্তর দিলঃ আমার বন্ধু মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলে গিয়েছে, দোস্ত,
যখনি বিড়ি খাবি, আমার নাম করেও একটা খাবি। এই জন্যেই ২টা খাচ্ছি।
এর কিছু দিন পর একদিন তাকে ১টি সিগারেট খেতে দেখে লোকটি আবার
জিজ্ঞাসা করলো, "কি ভাই? বন্ধুর কথা ভুলে গেলেন নাকি?"
লোকটির উত্তরঃ
.
"ভাই, আমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু বন্ধুর টা খাচ্ছি।"
--------------------------------

গৃহকর্তাঃ খাঁটি গরুর দুধ বলে তো দিলে। বাড়ি নিয়ে তো দেখি
,
অর্ধেকটাই পানি।
!
গোয়ালাঃ গরুটা খাঁটি বলেছি, দুধ তো খাঁটি বলি নি।
------------------------------

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের
উপর পড়ল। লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন।
“আমার জমিতে ঢোকা যাবে না।আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।
লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।” ক্ষেতের মালিক মনে মনে উকিলের উপর চটে গেলেন। তিনি বললেন,”আমাদের এদিকে ঝগড়া মীমাংসা করার ধরণ একটু
ভিন্ন। আমরা ঝগড়া মীমাংসা করি তিন লাত্থি পদ্ধতিতে।”
উকিল বলল, “তিন লাত্থি পদ্ধতি কি?”
ক্ষেতের মালিক বললেন,
“প্রথমে আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। তারপর তুমি আমাকে তিন লাথি দেবে।
আবার আমি তোমাকে তিনলাথি দেব। এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ সারেন্ডার করে।”
উকিল দেখল এখন মামলা টামলা করলে অনেক সময় নষ্ট
হবে, হাঁস হয়তো পাওয়া যাবে না, পাওয়া গেলেও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে।
তাছাড়া এই বৃদ্ধকে সে অচিরেই তিন লাথিতে হারাতে পারবে। তাই সে এই
পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে রাজি হয়ে। বৃদ্ধ প্রথম লাথিটা মারলেন তার হাঁটুতে,
উকিল চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। দ্বিতীয় লাথিটা ধেয়ে এল তার নাক
বরাবর, উকিল রক্তাক্ত মুখে মাটিতে শুয়ে পড়ল। তৃতীয় লাথি আঘাত করল উকিলের বুকে, উকিল ব্যথায় ককিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেল। না, অজ্ঞান হলে তো চলবে না। উকিল তার সমস্ত শক্তি একত্র করে উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধকে কষে একটা লাথি মারার জন্য পা তুলল সে। ঠিক সেই মুহূর্তে বৃদ্ধ
হেসে বললেন, “আমি সারেন্ডার করলাম। তোমার হাঁস তুমি নিয়ে যাও।”