মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৩৪- সত্য ভূতুড়ে ঘটনা

পাঠিয়েছেন - Rafia Azrin

একদিন বাব মার সাথে আমার তুমুল ঝগ্রা হয়, এর আগে আমি কোনোদিনও তাদের ওপোর এমন রাগ করিনি। বাবা মার এক মেয়ে বলে কথা, রাত তখন ১ঃ৫০ বাজে। সময়টা শীতকালের প্রায় কাছাকাছি। মনে মনে ভাবলাম রাগ যখন করেছি তখন আরেকটু রাগ বাড়াই। তাই সেই হালকা শীতের রাতেই নিজেকে ঘর থেকে বের করে নিলাম। রাস্তার দিকে বের হলা। গত তিন দিন ধরে আমাদের পাশের বাসার একটা মেয়েকে পাওয়া জাচ্ছেনা, সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথা বেথা নেই। আমি ভুত প্রেতে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু সেদিন রাতটা আমার জন্য কতটা ভয়ানক হয়ে দারিয়েছিলো টা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। রাস্তা ছিলো একদম ফাঁকা। শুন্য রাস্তায় যেন আমি একা একা হাটছি। হটাত মনে হল কে যেন আমার পেছন পেছন আসছে। পেছনে তাকাতে সাহস পেলাম না। কিন্তু হটাত সামনে দেখি একজন সাদা বোরকা পড়ার মতো একটা মেয়ে আমাকে ডাকছে। আমি খুবই অবাক হলাম এমনকি বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে আমি কি করব। যে দুইটা জিনিস আমি খেয়াল করলাম তা হল মেয়েটার পা মাটি থেকে অনেক উপরে যদিও তা বোঝা জাচ্ছেনা খুব একটা, দ্বিতীয়ত আরেকটা জিনিস সেটা হল মেয়েটার হাত আছে কিন্তু আঙ্গুলের বদলে গরুর পায়ের খুরের মতো। আমি থমকে গেলাম। জিনিসটা কিচ্ছুক্ষন আগেই আমার কাছ থেকে প্রায় দশ হাত দূরে ছিলো কিন্তু এখন যেন মাত্র এক হাত দূরে। কিছুক্ষন পরে সে আমাকে চেপে ধরল। আমি মাটিতে পরে গেলাম, কিন্তু তারপরে আর মনে নেই। উঠে দেখি সকাল বেলা...আমি বাসায়, বিছানায়। মা বাবা জিজ্ঞেস করল কিন্তু কিছুই বললাম না। শুধু বললাম রাগ করে রাস্তায় ঘুমিয়ে পরেছিলাম। আমার বাবা মা দুজনেই একই কোম্পনিতে আছেন, ব্যাবসার দেখাশোনা করেন। সন্ধ্যাবেলায় তারা আবার চলে গেলেন অফিসে। আমার সন্ধ্যা ঘুমানোর স্বভাব আছে। ঘুমাচ্ছিলাম কিন্তু হটাত ঘুম ভেঙ্গে জাওয়ায় দেখি সেই মেয়েটা মেঝেতে বসে তার মাথাটা আমার পায়ের উপর রেখে আছে। আমি একদম কাঠ হয়ে গেলাম। আবছা আলোয় দেখলাম তার মুখটা কেমন জানি পাশের বারির হারিয়ে জাওয়া মেয়েটির মত লাগছে, চোখ দুইটা থেকে ঝলসে পরছে রক্ত। সে উঠে দাঁড়াল আর পা বারাল সেই রাস্তায়, আমিও গেলাম পিছে পিছে। সে একটা গলির ভিতর ঢুকলো। গলির মাথাতেই একটা পুরনো বারি আছে যেখানে কেও জায়না কিন্তু আমি আনমনায় তার পিছু নিয়েছিলাম বলে আমিও ঢুকে পরলাম সেই বাসায়। গিয়ে দেখি একটা বস্তার মধ্যে তার শরীর, হাত পা ভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, চোখ থেকে রক্ত ঝলসে পরছে। এরপর আমি ধীর পায়ে ওই মেয়েটার বাসায় গেলাম এবং তার পরিবারকে সব খুলে বললাম। কিছুদিন পরে তারা খুনিকেও বের করে ফেলল, শুধু আমি বুঝলাম না োই বারির মেয়েটা সাহায্যের জন্য আমাকে কেনো.........? আজও এই ঘটনা আমাকে মনে মনে তারিত করে।