সরদার তাঁর বন্ধুকে বলছেন, ‘জানিস, আমি গোয়েন্দা উপন্যাস সব সময় মাঝামাঝি থেকে পড়া শুরু করি। তাতে মজাটা বেশি হয়।’
বন্ধু: কীভাবে?
সরদার: তখন শুধু উপন্যাসের শেষ না, শুরুটা জানারও কৌতূহল থাকে!
--------------------------
গোয়েন্দাপ্রধান: চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: অবশ্যই, স্যার!
গোয়েন্দাপ্রধান: ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো?
গোয়েন্দা সহকারী: অসম্ভব, স্যার। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকে গেছি।
গোয়েন্দাপ্রধান: কিসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে।
গোয়েন্দাপ্রধান: কী?! হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেওয়ার কথা না!
গোয়েন্দা সহকারী: হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম!
---------------------------
বিখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমস ও তাঁর সহকারী ওয়াটসন একটা বেলুনে চেপে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন। উড়তে উড়তে চলে যাচ্ছিলেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
নিজেদের অবস্থান বুঝতে না পেরে শার্লক বেলুন থেকেই চিৎকার করে এক লোককে ডাকলেন, ‘এই যে শুনছেন, আমরা এখন কোথায় আছি বলতে পারেন?’
লোকটা কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিল, ‘আপনারা একটা বেলুনে আছেন।’
উত্তর শুনে শার্লক তাঁর সহকারীকে বললেন, ‘ওয়াটসন, বলো তো, এই লোকটার পরিচয় কী?’
ওয়াটসন: আমার ধারণা, লোকটা পাগল।
শার্লক হোমস: নাহ্। সে একজন গণিতবিদ।
ওয়াটসন: কী করে বুঝলে?
ওয়াটসন: প্রথমত, লোকটা উত্তর দেওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভেবে নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, লোকটা আমাদের একদম সঠিক উত্তরটাই দিয়েছে। তৃতীয়ত, তার উত্তরের কোনো ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই!