সেইদিনগুলি কি ভাল
ছিলনা,যেদিন এক আইসক্রিম
দুজনে ভাগ
করে খেতাম,একটা টাকা কেউ খরচ
করলে তা খরচের খাতায়
লিখে রাখতাম,মাস শেষে বেতন
এনে সে আমার হাতেই
দিত,সবজি কাটতে হয়নি কখনও
একা,আমি কাটতে বসলেই
সে এসে বসে পড়তো,গল্প
করতে করতে দুজন কাজ শেষ করতাম।
আমি কাপর ধুতে পারতামনা তাই
সে ছুটির দিন নিজে কাপর
ধুয়ে দিতো,চা খেতে খেতে টিভি দেখতাম
দদুজন একসাথে।তখন রিকশার
ঘন্টা ছিলো বিশ টাকা আমরা ছুটির
দিন রিকশা ভাড়া করে ঘন্টার পর
ঘন্টা বেড়াতাম,তখন
কথা দিলে কথা রাখত সে।
একবার কি এক
কারনে চাকরিটা চলে গেল,আমি তার
মনের
অবস্থা দেখে বললাম,তোমাকে আর
চাকরি করতে হবেনা,আমার
গহনা তো এমনি পড়ে আছে তুমি ওগুলো বন্ধক
দিয়ে টাকা আনো,বেবসা করো,পরে না হয়
গহনা ছাড়িয়ে আনবে।সে তাই
করলো।শুরু হলো অন্য এক
জীবন,যে জীবন আমি চাইনি।
লোকে বলে অভাব যখন দরজায়
এসে দারায়,
ভালবাসা নাকি জানালা দিয়ে পালায়,কই
আমরা যখন হিসেব করে সংসার
করেছি তখন তো আমাদের সংসার
ভালবাসায় পরিপুর্ন ছিল,এখন যখন
তার ব্যাংক একাউন্টের অভাব নেই
এখন কেন ভালবাসাহীন
সংসারে অসহায়, একাকি জীবন
পাড় করছি?
বেবসার শুরুটা ভাল ছিল আর সেটাই
আমার কাল হয়েছে,তাকে নারির
মোহ,দুনিয়ার মোহ গ্রাস
করল,সে আস্তে আস্তে আমার
থেকে দুরে চলে গেল।এখন আর
একসাথে বসে ভাত
খাওয়া হয়না,না খেলেও
জানতে চাওয়া হয়না।
বেড়াতে যাওয়া স্বপ্ন এখন।
সারাদিন কত
কথা জমিয়ে রাখি তা বিলিন
হয়ে যায় ডিম লাইটের আলোয়,তার
নাক ডাকার শব্দে, আমার
নিশব্দে গড়িয়ে পড়া দুচোখের অশ্রৃর
সাথে।আমার গহনা আর
ছাড়িয়ে আনা হলনা আমি আমার
গহনার সাথে সাথে জীবনের
সবচেয়ে মূল্যবান জিনিষ
হারিয়ে ফেলেছি তা হলো আমার
স্বামির ভালবাসা।গহনার
প্রতি লোভ হয়না, লোভ হয় সেই
সোনালি,রঙিন দিনগুলির
প্রতি,সেই দিন কি আর
ফিরে পাবোনা?