দমকলকর্মীদের অফিসে ফোন করেছেন আবুল। ওপাশ থেকে ফোন ওঠাতেই তিনি বললেন, ‘বুঝলেন কি না, আমার বাসার পাশে দুই মাস হয় সুন্দর বাগান করেছি।’
দমকলকর্মী: অযথা কথা না বলে কোথায় আগুন লেগেছে তাই বলুন।
আবুল: জবা, গোলাপ আর টগরও লাগিয়েছি। ছোট ছোট চারা, কদিন বাদেই ফুল ফুটবে।
দমকলকর্মী: আহা! কোথায় আগুন লেগেছে?
আবুল: হাসনাহেনাগুলো অবশ্য যত্নের অভাবে একটু শুকিয়ে গেছে….
দমকলকর্মী: কোথায় আগুন লেগেছে বলবেন, না আমি ফোন রাখব?
আবুল: আগুন লেগেছে আমার পাশের বাসায়। বলছিলাম, পানি ছিটানোর সময় আমার বাগানেও যদি একটু পানি দিয়ে যেতেন….!
-----------------
ছুটির দিন। স্কুল থেকে সবাই দলবেঁধে বেড়াতে গেছে শহরের পাশেই একটা বনে। বনের ভেতর দীর্ঘক্ষণ ঘোরাফেরা করেও কোনো পশুপাখির দেখা পাচ্ছিল না স্কুলপড়ুয়ারা। মজার কিছু না পেয়ে ওরা হতাশ।
বন্ধুদের চেয়ে একটু দূরে সরে গিয়েছিল কাশেম। ঝোপের পাশে দুটো দুধের বোতল দেখে চিৎকার করে উঠল সে, ‘দেখো দেখো! একটা গরুর বাসা পেয়েছি!’
-----------------
ছক্কু আর বল্টু, দুই বন্ধু দুটো ঘোড়া কিনেছে। ঘোড়া দুটোকে রেসের মাঠে কাজে লাগাবে, এমনটাই ইচ্ছা ওদের। কিন্তু কার ঘোড়া কোনটা, কী করে চিনবে ওরা? বুদ্ধি বাতলাল ছক্কু, ‘একটা চিহ্ন থাকতে হবে তো, এক কাজ করি চল। আমার ঘোড়ার লেজটা কেটে ফেলি। তাহলে সহজেই চেনা যাবে। লেজ কাটা ঘোড়াটা আমার, অন্যটা তোর।’ বল্টুরও মনে ধরল বুদ্ধিটা। কথামতোই কাজ করল দুজন।
পরদিন দেখা গেল, দুষ্টু ছেলেরা বল্টুর ঘোড়ার লেজটাও কেটে ফেলেছে। বাধল বিপাক। এখন চেনা যাবে কী করে?
এবার বলল বল্টু, ‘এক কাজ করি, আমার ঘোড়াটার একটা কান কেটে ফেলি। কান কাটা ঘোড়াটা আমার, অন্যটা তোর।’ যেই কথা, সেই কাজ। কেটে ফেলা হলো বল্টুর ঘোড়ার কান।
এদিকে দুষ্টু ছেলের দল পরদিনই অন্য ঘোড়াটারও কান কেটে নিল। এখন উপায়?
রেগেমেগে শেষে বলল ছক্কু, ‘দূর ছাই! অত চিহ্নটিহ্ন রাখতে হবে না। সাদা ঘোড়াটা তোর, আর লালটা আমার।’
-----------------