হাবলু আর বাবলু, দুই ভাই একটা আমগাছে ঢিল ছুড়ছিল।
হাবলু: ভাইয়া, এতক্ষণ ধরে ঢিল ছুড়ছি, তবু আমটা পড়ছে না। আমার মনে হয়, আমটা এখনো কাঁচা।
বাবলু: হুম, বৃথা কষ্ট করে কী লাভ? তুই এক কাজ কর তো, গাছ বেয়ে ওপরে উঠে যা।
হাবলু অনেক কষ্ট করে হাচড়ে-পাচড়ে গাছের ওপর চড়ে বসল। হাত বাড়িয়ে আমটা টিপেটুপে পরীক্ষা করে চিৎকার করে বাবলুকে জানাল, ‘ভাইয়া, আমটা পাকা!’
বাবলু: গুড! জলদি নিচে নেমে আয়। দুই ভাই মিলে ঢিল ছুড়লে আমটা পাড়তে খুব বেশি দেরি হবে না!
--------------------------------
জলিল সাহেব রেগেমেগে তাঁর বসের রুমে ঢুকে বললেন, ‘স্যার, অফিসের সবাই বলে, আমি নাকি এ অফিসের সবচেয়ে বোকা লোক! এ অপমান অনেক সয়েছি, আর না! আজ আমি প্রমাণ করে দিয়েছি, আমার চেয়ে বোকা লোকও এই অফিসে আছে!’
বস: তাই নাকি? তা কীভাবে প্রমাণ করলেন?
জলিল সাহেব: অফিসের গাড়ির ড্রাইভারটাকে বললাম, ‘জলদি আমার বাড়ি গিয়ে দেখে আসো তো, আমি বাড়ি আছি কি না।’ ব্যাটা অমনি গাড়ি নিয়ে ছুট লাগাল! কত বড় আহাম্মক!
বস: হুম। তাই তো দেখছি।
জলিল সাহেব: জি স্যার! কত বড় গাধা! আমার বাড়ি যাওয়ার কী দরকার ছিল? বাসায় ফোন করে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেই হয়!
------------------------------
সৈকত সাহেব দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমাতে চেষ্টা করছেন, মশার জ্বালায় পারছেন না। যখনই চোখ দুটো ঘুমে একটুখানি লেগে আসে, তখনই কোথা থেকে যেন একটা পাজি মশা এসে কানের কাছে ‘গুন গুন গুন গুন’ করতে থাকে।
রেগেমেগে সৈকত দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, ‘একবার যদি ধরতে পারি, দেখাব মজা!’
সৈকত এবার ঘুমের ভান করলেন। যখনই মশাটা কাছে এল, অমনি খপ করে মশাটাকে ধরে ফেললেন। আলতো করে ধরে মশার গায়ে হাত বোলাতে লাগলেন আর ‘আয় ঘুম আয় রে’ বলে বলে মশাটাকে ঘুমপাড়ানি গান শোনাতে লাগলেন! কিছুক্ষণের মধ্যেই মশাটা নিস্তেজ হয়ে এল। দেখে মনে হলো, মশাটা প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে! এবার সৈকত সাহেব মশার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন, ‘গুন গুন গুন গুন….’!!